সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক না কেন তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছেন এবং জামিনে মুক্তিও পাচ্ছেন। তবে যারা মানুষ পুড়িয়ে মারছেন, জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে- সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় বলেই তাদের নেতারা বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধীদল দমনে বিশ্বাস করে না। তবে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, সে যে দলেরই হোক না কেন। সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপি বরাবরের মতো নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থান নিয়েছে।
কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান নিতে হয়েছে। এ কারণে আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হন সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে।
তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতারা যেন কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারেন সেজন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলসহ দলটির নেতবৃন্দ লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টে বিএনপি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও অপতৎপরতায় লিপ্ত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি। এর আগেও তারা অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। তাদের এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই বিএনপি নেতারা বিরোধীদল দমনের কথা বলেন।