শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ; জমে ওঠে ম্যাচ । টানটান উত্তেজনার মধ্যে রেফারির বাঁশি। শেষ প্রথমার্ধ; কোনো দলই পায়নি সফলতা। দ্বিতীয়ার্ধেও চলে টানটান উত্তেজনা। ৭৮ মিনিটে জালে গোল জড়ান আর্জেন্টিনার লুসিয়ানো গন্ডু। তার একমাত্র গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আলবিসেলেস্তেরা। বলছিলাম আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচটির কথা।
বিপরীতে ব্রাজিলের সামনে ছিল সহজ সমীকরণ। বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে প্যারাগুয়ের কাছে ১-০ ব্যবধানে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ২-১ গোলে হারিয়ে অলিম্পিকে এক পা দিয়েই রেখেছিল তারা। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কেবল ড্র করলেই নিশ্চিত হতো অলিম্পিকের টিকিট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
অপরদিকে দ্বিতীয় দল হিসেবে অলিম্পিকের টিকিট প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে প্যারাগুয়ের। দুই ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট এখন ৪।
প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলার দুই ম্যাচে পয়েন্ট এক। প্যারাগুয়ে ড্র করলেই অফিসিয়ালি নিশ্চিত অলিম্পিক। কিন্তু ব্রাজিলের মতো হেরে বসলে সুযোগ পেয়ে যাবে ভেনেজুয়েলা।
এর আগের দুই মৌসুমের ব্রাজিল স্বর্ণপদক জিতেছিল। যে কারণে এবার তাদের সামনে ছিল হ্যাটট্রিক করার সুযোগ। অথচ এবার তারা অলিম্পিকের মূলপর্বে জায়গাই করে নিতে পারলো না। ২০০৪ সালের পর এই প্রথম টানা দুইবারের সোনাজয়ীরা চূড়ান্ত পর্বে আসার আগেই ছিটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটলো।
ফ্রান্সে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার পথে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচটি ছিল অঘোষিত ফাইনাল। তবে ব্রাজিল ড্র করতে পারলেও মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করতে পারতো। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার জন্য ম্যাচটি জয়ের বিকল্প ছিল না। কারণ, আগের দুই ম্যাচে এক হার আর এক জয়ে ব্রাজিলের পয়েন্ট ছিল ৩।
আর আগের দুই ম্যাচেই ড্র করা আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ছিল ২। যে কারণে এই ম্যাচে কোনোমতে ড্র করতে পারলেও চূড়ান্তপর্বে উঠে যেতো ব্রাজিল। তখন ব্রাজিলের পয়েন্ট হতো ৪, আর আর্জেন্টিনার পয়েন্ট হতো ৩। তবে সেটি আর হয়নি। অবশেষে ৫ পয়েন্ট নিয়ে আর্জেন্টাইন যুবারাই উঠেছে মূলপর্বে।
এর আগে মোট ৪ বার অলিম্পিকের মেডেল জিতেছিল ব্রাজিল। অপরদিকে ২০০৪ ও ২০০৮ সালে স্বর্ণপদক জেতে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ শেষে গনদো সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এটা প্রাপ্য। আমরা যোগ্যতার দিয়ে খেলে একটি ম্যাচও হারিনি। আমরা লড়াই করেছি। এই গোলের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা এটি পেয়েছি।’
অপরদিকে ম্যাচ হেরে ব্রাজিলের মিডফিল্ডার আন্দ্রে সান্তোস বলেন, ‘এটা খুবই খারাপ অনুভূতি। আমরা এর জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। পুরো টুর্নামেন্টে বল ধরে রাখতে লড়াই করেছি। আমরা যেমন আশা করেছিলাম তেমন হয়নি।’
দ্য নিউজ/ফশা/আসা