*** পরীক্ষামূলক পরিচালন ***

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন...

একনেকে ১৯৭৪ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়...

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হলেন সরওয়ার আলম

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ...

দুর্দান্ত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার হৃদয় ভেঙে চ্যাম্পিয়ন ভারত

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের শিরোপা জিতলো ভারত। শনিবার (২৯ জুন) বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে প্রোটিয়াদের ৭ রানে হারায় রোহিত শর্মার দল। টস জিতে ভিরাট কোহলির অর্ধশতকে ১৭৬ রানের পুঁজি পায় টিম ইন্ডিয়া। জবাবে নির্দিষ্ট ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুললে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এনিয়ে ১১ বছর পর আইসিসি ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন হল নীল শিবির। শেষবার ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল তারা। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বার এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের পর তৃতীয় দল হিসেবে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হল তারা।

বার্বাডোসে নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জাতপ্রিত বুমরার বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রোটিয়া ওপেনার রেজা হেনরিকস। ঠিক পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন আর্শ্বদ্বীপ সিং। ওভারের তৃতীয় বলে পন্তের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন এইডেন মার্করামও। দলীয় ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।

হেনরিকস ও মার্করাম ফিরে গেলে স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন কুইন্টন ডি কক। ব্যক্তিগত ৩১ রানে আক্সার প্যাটেলের বলে সাজঘরে ফেরেন স্টাবস। দলীয় ৭০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়া শিবির। ক্রিজে আসেন হেনরিখ ক্লাসেন। দ্বিতীয় ইনিংসের অর্ধেক তখনও বাকি। ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৮১ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা।

একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলা চালিয়ে যান কুইন্টন ডি কক। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে আর্শ্বদ্বীপের বলে কুলদ্বীপ যাদবের তালুবন্দি হন ডি কক। ১০৬ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে প্রোটিয়া শিবিরে।

এরপর মিলার-ক্লাসেনের ৪৫ রানের জুটিতে জয়ের সুবাতাস পেতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ১৫১ রানে অর্ধধতক পূরন করে হার্দিকের বলে ফিরে যান ক্লাসেন। ম্যাচ এবার মোড় নেয় নাটকীয়তায়। ২ রান করে বুমরাহর বলে আউট হন জানসেন।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন হয় ১৬ রান। বোলিংয়ে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। ওভারের প্রথম বলেই আউট হন ডেভিড মিলার। শেষ পর্যন্ত ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ১৬৯ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।

এর আগে, টস জিতে শুরুতেই উড়ন্ত সূচনা পায় টিম ইন্ডিয়া। ব্যাট করতে নামে টিম ইন্ডিয়ার দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ভিরাট কোহলি। প্রথম ওভারেই টানা তিনটি চার মারেন ভিরাট। কিন্তু এর পরেই নীল শিবিরে ঘটে সাময়িক ছন্দপতন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কেশব মহারাজের জোড়া আঘাতে পরপর ২ উইকেট হারায় রোহিতের দল।

দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ২৩ ও ব্যক্তিগত ৯ রানে ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রোহিত। স্কোরবোর্ডে আর রান যোগ না হতেই ওভারের শেষ বলে কুইন্টন ডি ককের তালুবন্দি হয়ে শূন্য রানে মাঠ ছাড়েন পন্ত। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের দিকে পা বাড়ান সুরিয়াকুমার যাদব।

ভারতের দায়িত্ব নেন ভিরাট কোহলি ও আক্সার প্যাটেল। দুজন মিলে গড়েন ৭২ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরত যান আক্সার প্যাটেল। ক্রিজে আসেন শিভব দুবে। তাকে সঙ্গে নিয়ে নতুন জুটি গড়েন ভিরাট। দলীয় স্কোরবোর্ডে দুজন মিলে যোগ করেন আরও ৫৭ রান।

ইনিংসের ১৯ তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন ভিরাট। জানসেনের বলে রাবাদার তালুবন্দি হবার আগে খেলেন ৭৬ রানের দারুন এক ইনিংস। কোহলির ব্যাট থেকে এদিন আসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা। দুবে করেন মাত্র ১৬ বল ২৭ রান। হার্দিক পান্ডিয়া অপরাজিত থাকেন ৫ রানে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ১৭৬ রানে থামে ভারতের ইনিংস।

উল্লেখ্য, প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অপরদিকে নিজেদের তৃতীয় ফাইনালে মাঠে নামে মেন ইন ব্লু’রা। জোহানেসবার্গের পর বার্বাডোসে সুখস্মৃতি সঙ্গী হলো ভারতের।

সর্বশেষ
সম্পর্কিত