*** পরীক্ষামূলক পরিচালন ***

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বিমান ও পর্যটন...

মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনায় তীব্র নিন্দা, দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে মানহানির ঘটনায়...

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার...

মিয়ানমারে ২ বিদ্রোহী যোদ্ধাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সংঘর্ষ প্রকট আকার ধারণ করার পাশাপাশি ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও।

এমন অবস্থায় দেশটিতে ২ বিদ্রোহী যোদ্ধাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ সামনে এসেছে। যদিও এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রায় তিন মাস আগে ঘটেছে এবং চলতি সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এটি সামনে আসে।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী। মূলত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নামে গাছে ঝুলিয়ে তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, দুই ব্যক্তিকে স্বীকার করতে বাধ্য করা হচ্ছে যে- তারা স্থানীয় জনপ্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য। জান্তা সৈন্যরা ওই দুই ব্যক্তিকে নিজেদেরকে ‘কুকুর’ হিসাবে উল্লেখ করতেও বাধ্য করে। এসময় কয়েকজনকে ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় এবং অন্যদের বেসামরিক পোশাকে তাদের চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

মূলত জান্তা সৈন্যদের বোঝাতে অনেক বেসামরিক ব্যক্তি ‘সামরিক কুকুর’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন।

এছাড়া জীবন্ত পুড়িয়ে মারার আগে ওই দুই ব্যক্তিকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে দেখা গেছে ভিডিওটিতে। হত্যার আগে তাদের গুরুতর জখম অবস্থায় দেখা যায়। একপর্যায়ে হাত-পা লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় তাদের গাছের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর নিজেদেরকে ‘কুকুর’ বলতে বাধ্য হওয়ার পর তাদের একটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাদের ওপর জ্বালানি তেল ঢেলে দেওয়া হয় এবং তারপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সামনে উপস্থিত সকলের সামনেই তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়।

এই এই হত্যাকাণ্ড সরাসরি দেখার জন্য গ্রামের প্রতিটি পরিবারের একজন করে সদস্যকে সেখানে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছিল বলে ওয়াইডিএফ জানিয়েছে। তবে ইরাবতী এই দাবিটি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা ভিডিওটি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এ ধরনের অমানবিকতা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিপ্লবী চেতনাকেই আরও শক্তিশালী করবে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।

সর্বশেষ
সম্পর্কিত