*** পরীক্ষামূলক পরিচালন ***

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

চিকিৎসার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে...

স্বৈরশাসকদের অধ্যায় জেলেই শেষ হয়: প্রেস সচিব

‘স্বৈরশাসকদের অধ্যায় জেলেই শেষ হয়’ বলে মন্তব্য...

নির্বাচনে কারা আসবে, সে সিদ্ধান্ত ইসির: বদিউল আলম

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম...

বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ, প্রথমবার ভারত চ্যাম্পিয়ন

প্রথমবারের মতো আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। সুযোগ ছিল শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ার। স্বপ্নও ছিল বরাবর। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই স্বপ্ন ধরা দেয়নি।

আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর, ২০২৪) সকালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বাংলাদেশকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম আসরের শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারতের কিশোরীরা।

ভারত কন্যারা টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান করে। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের মেয়েরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। এরপর ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৮.৩ ওভারে মাত্র ৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।

রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৮ রানের মাথায় ডাক মেরে ফিরে যান মৌসুমী ইভা। পাওয়ার প্লে’র পঞ্চম ওভারের শেষ বলে আরও একটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এ সময় আউট হন সুমাইয়া আক্তার। তিনি ১ চারে ৮ রান করেন। বাংলাদেশের রান তখন ২৪।

সেখান থেকে ফাহোমিদা ছোয়া ও জুয়াইরিয়া ফেরদৌস ২০ রানের জুটি গড়ে আশা জাগান। কিন্তু ৪৪ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙার পর শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। ছোয়া ২ চারে ১৮ রান করে আউট হন। এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে বাংলাদেশের কেউ আর দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। জুয়াইরিয়া ৩০ বলে ৩ চারে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন।

বাংলাদেশ শেষ ছয়টি উইকেট হারায় মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে। অর্থাৎ ৪ উইকেটে ৬৪ রান তুলে ৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ছোয়া ফেরার পর ৫৫ রানের মাথায় সুমাইয়া আক্তার (৫), ৬৪ রানের মাথায় জুয়াইরিয়া, ৬৮ রানের সময় সাদিয়া আক্তার (৫), ৬৯ রানে হাবিবা ইসলাম (১), ৭২ রানের মাথায় জান্নাতুল মাওয়া (৩), ৭৪ রানে নিশিতা আক্তার নিশি (১) ও ৭৬ রানে শেষ ব্যাটার হিসেবে শূন্যরানে আউট হন আনিসা আক্তার সোবা। তাতে কাঙ্খিত লড়াইটুকুও করতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

ভারতের আয়ুশি শুক্লা ৩.৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। পুরুনিকা সিসোদিয়া ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। আর সোনম যাদব ৪ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে শিকার করেন ২টি উইকেট।

তার আগে ভারত ব্যাট করতে নেমেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। কিন্তু তাদের আসা-যাওয়া মিছিলের মধ্যেও একপ্রান্ত আগলে ব্যাটিং করেন গঙ্গাদী তৃষ্ণা। তিনি ৪৭ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন মিথিলা ভিনোদ। এছাড়া অধিনায়ক নিকি প্রসাদ ১২ ও আয়ুশি শুক্লা করেন ১০ রান। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা। কিন্তু তৃষ্ণার ব্যাটে লড়াকু পুঁজি পেয়ে যায় ভারতের মেয়েরা। যেটার ধারে-কাছেও যেতে পারেনি বাংলাদেশের কিশোরীরা।

বল হাতে বাংলাদেশের ফারজানা ইয়াসমিন ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। নিশিতা আক্তার নিশি ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। আর হাবিবা ইসলাম ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।

৫২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ফাইনালে ম্যাচসেরা হন ভারতের তৃষ্ণা।

সর্বশেষ
সম্পর্কিত