কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘন-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন এইচআরএসএসের গবেষণা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
সংস্থাটি জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৮১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা বিভাগে ৫০০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৫ জন, খুলনা বিভাগে ৭৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৯ জন, রংপুর বিভাগে ২৫ জন, সিলেট বিভাগে ২০ জন এবং বরিশাল বিভাগে ১৩ জন মারা গেছেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৪৬ জনের মৃত্যুর ধরন বিশ্লেষণ করতে পেরেছে এইচআরএসএস। এতে দেখা গেছে, ৪৫৫ জন গুলিতে, ৭৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে, ৭৮ জন পিটুনিতে ও ১০ জন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং অন্যান্য কারণে ২৪ জন মারা গেছেন।
সংস্থাটির প্রতিবেদন বলেছে, নিহত ৮১৯ জনের মধ্যে ৬৩০ জনের নাম তারা জানতে পেরেছে। ১৮৯ জনের নাম জানা যায়নি। ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩১১ জন এবং ৪ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ৫০৮ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের বয়স বিশ্লেষণ করে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ৮১৯ জনের মধ্যে ৪৭০ জনের বয়স সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে ১৮ বছরের কম বয়সী ৮৩ জন, ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২৪০ জন এবং মধ্যবয়সী ১২৬ জন।