*** পরীক্ষামূলক পরিচালন ***

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বিমান ও পর্যটন...

মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনায় তীব্র নিন্দা, দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে মানহানির ঘটনায়...

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার...

উপদেষ্টা হাসান আরিফের দাফন আজ, পালিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় শোক

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফকে আজ মিরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে। এছাড়া, প্রয়াত হাসান আরিফের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

গতকাল রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এদিকে, হাসান আরিফের মৃত্যুতে গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পরিষদের সভায় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শোক প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।

উপদেষ্টা হাসান আরিফ শুক্রবার বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান। ওইদিন বাদ এশা ধানমন্ডি সাত নম্বর বায়তুল আমান মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে উপদেষ্টা হাসান আরিফের দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে সচিবালয় তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মেয়ে বিদেশে থাকায় তার মরদেহ সিএমএইচের হিমঘরে রাখা হয়।

১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় হাসান আরিফের জন্ম। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি করেন।

১৯৬৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তিনি সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী ছিলেন ‘এএফ হাসান আরিফ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ চেম্বারের প্রধান।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে ১৯৮২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৮৫ সালের অগাস্ট পর্যন্ত তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে ১৯৮৫ সালের অগাস্ট থেকে ১৯৯৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং বিএনপি জামায়াত-জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

হাসান আরিফ ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন।

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের একজন প্যানেল সদস্য ছিলেন তিনি।

সর্বশেষ
সম্পর্কিত