ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের অন্যতম শীর্ষ সামরিক নেতা মারওয়ান ঈসার মৃত্যু হয়েছে বলে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তা জেইক সালিভান জানিয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে নিহত হওয়া হামাসের নেতাদের মধ্যে ডেপুটি মিলিটারি কমান্ডার মারওয়ান ইসা সবচেয়ে সিনিয়র নেতা বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। তবে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস তাদের নেতা ইসার মৃত্যু প্রসঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলি মিডিয়ার দাবি, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের নিচে একটি টানেল কমপ্লেক্স লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলা হয় গত সপ্তাহে। ওই হামলায় নিহত হন মারওয়ান ইসা।
হামাসের সামরিক শাখা ইজেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার ইসা ছিলেন ইসরায়েলের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। আগে থেকেই এই হামাস নেতাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও কালো তালিকাভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গত ৭ অক্টোবরের হামলার পেছনে তাকে অন্যতম হোতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। ওই হামলায় প্রায় ১২শ ইসরায়েলি মারা যায়।
বিবিসি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রথম ইন্তিফাদার সময় ঈসাকে গ্রেপ্তার করেছিল ইসরায়েল। তখন তারা তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। এরপর ১৯৯৭ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে ২০০০ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরুর আগ পর্যন্ত অন্তরীণ করে রাখে।
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সালিভান জানান, হামাসের অন্য নেতারা ‘সম্ভবত গাজায় হামাসের টানলে নেটওয়ার্কের গভীরে’ পালিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতাদের খোঁজে ইসরায়েলের অব্যাহত অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানে সমর্থন দিলেও ফিলিস্তিনে বেসামরিক মৃত্যুর ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন সুলিভান।