এলোমেলোভাবে না করে আইন অনুযায়ী হোটেল ও রেস্তোরাঁ অভিযান পরিচালনা করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ কথা বলেন।
একইসঙ্গে আইন অনুযায়ী যারা রেস্তোরাঁ পরিচালনা করছে তাদের হয়রানি করা কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়েও রুল জারি করে হাইকোর্ট।
এর আগে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় টনক নড়ে বিভিন্ন সংস্থার। পরে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোঁরা ও ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ ও সিটি করপোরেশন। অভিযানে অনেক রেস্তোরাঁ বন্ধ, জরিমানা ও বেশ কয়েকটি ভবন ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করা। গ্রেপ্তার করা হয় ৮৭২ জনকে, মামলা হয় ২০টি।
এরপর সোমবার (১১ মার্চ) অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মালিকরা।
এদিকে, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা করে। মামলায় কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘চুমুক’ নামের চা-কফির দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দুই দোকান মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন।