জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধারা দাবি করে আসছে- জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের। ধর্মের নামে মুখোশ পরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি তারা।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যৌথসভায় এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় নাশকতা-সহিংসতা এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জামায়াতের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব বিবেচনায় দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৪ দল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধে আইনগত দিকগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে সরকার। যাতে, আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আর রাজনীতি করার সুযোগ না পায় তারা। এ সময়, সবাইকে গুজব ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়েছে সরকার পতন আন্দোলনে রূপ দিতে। এই নির্দেশ কোথা থেকে এসেছে, কে অর্থ যোগান দিয়েছে, কোথায় বৈঠক হয়েছে, সব তথ্য সরকারের কাছে আছে। এ নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের মিথ্যাচার করে লাভ নেই।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।