বাংলাদেশে সবার জন্য শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানোর অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এক কথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের উপমুখপাত্র ফারহান হক। তিনি বলেন, ‘আমরা সবার শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অধিকারকে উৎসাহিত করি।
ফারহান হককে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশে আবারও সহিংস আচরণ দেখা গেছে, এবার জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শোক প্রকাশকে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বাধা দিয়েছেন। মুজিবুর রহমান পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবাও। এই বিষয়ে মহাসচিবের বক্তব্য কী?
ফারহান হক বলেন, আমরা আমাদের অবস্থানে অনড়। যেকোনো শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অধিকারকে আমরা সম্মান করি। আমরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আহ্বান জানাবো তারা যেন নিশ্চিত করে যে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে কেউ যেন বাধার সম্মুখীন না হয়।
আরেকটি প্রশ্নে জিজ্ঞাসা করা হয়, ড. ইউনূসকে নিজেদের অংশীদার মনে করে জাতিসংঘ। সেই প্রেক্ষিতে এই সরকারকে কীভাবে দেখছেন? জবাবে তিনি বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতির দরজা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের জন্য খোলা।
ব্রিফিংয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেখামাত্র গুলির নির্দেশের কারণে বাংলাদেশে ছাত্রদের বিক্ষোভে যে বর্বরতা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তে আগামী সপ্তাহে ঢাকা যাচ্ছে জাতিসংঘের একটি তদন্ত দল। এ বিষয়ে মহাসচিবের অভিমত কী?
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, তদন্ত দলটি কী কাজ হবে তা আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। পরে তিনি বিস্তারিত জবাবে বলেন, মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এবং মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের অফিস থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য যে সমর্থন দেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে ব্যাপক পরিসরে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে জবাবদিহিতার বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত। আগামী সপ্তাহ থেকে একটি দল ঢাকা সফর করবে যাতে সহায়তার ক্ষেত্র এবং সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যায়। হাইকমিশনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশের মানুষের একটি সফল ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য খুবই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা মানবাধিকার রক্ষার শক্তিশালীকরণে সহায়ক হবে।