সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দিল্লিকে পাঠানো চিঠির উত্তর এখনও পায়নি ঢাকা। সেই চিঠির উত্তর পেলে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
রফিকুল আলম বলেন, ভারতের সাথে প্রত্যর্পন চুক্তিতে কাউকে ফেরত পাঠানোর সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। চিঠির বিষয়ে দিল্লির জবাব না পেলে আবারও তাগাদা পত্র পাঠাবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতিসংঘের তদন্ত দলকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তথ্য না পাওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। এ সময় দ্রুতই এই সংকট কেটে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ভারতে গিয়ে পোল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসা নিতে কেউ কেউ হয়রানির শিকার হচ্ছেন জানিয়ে রফিকুল আলম বলেন, ঢাকা থেকে পোল্যান্ডের ভিসা ইস্যু করতে দেশটির সরকারের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে দিল্লিকে কূটনৈতিক পত্র পাঠানোর কথা জানায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি তখন বলেন, ভারতকে আমরা বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি। বিচারকাজের জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হয়েছে, সেটাও জানানো হয়েছে।
এরপর সোমবার রাতেই ঢাকার দেয়া কূটনৈতিক পত্র গ্রহণের কথা জানায় দিল্লি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে একটি ভারবাল নোট পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কোনও মন্তব্য নেই।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখের দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দেশটিতেই অবস্থান করছেন তিনি। এদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তাছাড়া আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।