কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে মানহানির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে, দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে প্রেস উইং বলেছে, চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে মানহানির ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, জনাব আব্দুল হাই হত্যাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা সকলকে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
জানা গেছে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই মুক্তিযোদ্ধার নাম আবদুল হাই কানু। গত শনিবার তিনি নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। এরপর রবিবার স্থানীয় কয়েকজন তাকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করে। এরপর এলাকা থেকে বের করে দেয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানাচ্ছেন অনেকেই।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ঘটনাটি রবিবার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ঘটেছে। এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন মিলে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে বলছে। এ সময় গ্রামবাসীর কাছে তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্যও বলতে শোনা যায়। জুতার মালা পরানো ও এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ছিলেন। স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার প্রথমদিকে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্কের কারণে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। স্থানীয় এক জামায়াত নেতাকে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে এলাকায় থাকতে পারেননি আবদুল হাই। এমনকি হত্যা মামলায় আসামিও হয়েছেন তিনি।