বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর তীব্র লড়াই চলছে। তাদের দুই পক্ষের লড়াইয়ে বাংলাদেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পালিয়ে এসেছেন ২২৯ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপির সদস্য। এ অবস্থায় মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলে বাংলাদেশও চুপ করে বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় মিয়ানমার ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির প্রভাব এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে পড়েনি। মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের নাফ নদী, টেকনাফ স্থলবন্দর এলাকায় সেনাবাহিনী ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, মিয়ানমার থেকে মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আইনমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছে দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তার রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর এ সংঘাত বেড়ে যায়। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে।