*** পরীক্ষামূলক পরিচালন ***

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বিমান ও পর্যটন...

মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনায় তীব্র নিন্দা, দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে মানহানির ঘটনায়...

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার...

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করে প্রতিশোধ টাইগারদের

টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ধবলধোলাইয়ের শিকার হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। টি-টোয়েন্টিতে সেটার শোধ তুলেছে লিটন দাসের দল। ক্যারিবীয়দের ডেরায় গিয়ে স্বাগতিকদের টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই করেছে টাইগাররা।

আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮০ রানে হারিয়েছে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলা বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে ১৯০ রানের বিশাল টার্গেট ছুড়ে ক্যারিবীয়দের গুঁড়িয়ে দিয়েছে ১০৯ রানে। এই দাপুটে জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০তে জিতে নিলো তাসকিন-তানজিমরা।

আজ আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৪০ রান যোগ করে টাইগাররা। ১৩ বলে ১৪ রান করা লিটন দাস রোমারিও শেফার্ডের পেসে পরাস্ত হলে ৪৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় অতিথিরা। চোট পাওয়া সৌম্য সরকারের জায়গায় খেলতে নামা পারভেজ হোসেন ইমন দারুণ শুরু পান। তিনি ২১ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন আলরাজি জোসেফের বলে। এরপর তানজিদ হাসান তামিম ৯ রান, মেহেদী হাসান মিরাজ ২৯ করে ফিরলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। জাকেরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়েন মারকুটে শামীম হোসেনও।

এরপর তানজিম হাসান সাকিবকে (১২ বলে ১৭) সঙ্গে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন জাকের। বাকি কাজ নিজেই সারেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। শেষ ৫ ওভারে ১ উইকেটে ৭৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে জাকের একাই তুলেছেন ২৩ বলে ৫৪! ধারাভাষ্যকারেরা তার ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখে বলছিলেন– ‘অ্যা সুপারস্টার ইন মেকিং!’ বাংলাদেশের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮৯।

১৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টালমাটাল হয়ে পড়ে উইন্ডিজ ব্যাটিং অর্ডার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ব্র্যান্ডন কিংকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। সিরিজে এ নিয়ে তাকে তৃতীয়বার আউট করলেন এই পেসার।

এরপর বাকি ক্যারিবীয় ব্যাটাররা আসা-যাওয়া করলে একসময় দলের রান দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৬০ রান। সেখান থেকে গুড়াকেশ মোতিকে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়েন শেফার্ড। ম্যাচ ততোক্ষণে বাংলাদেশের পকেটে। তারা শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটা কমিয়েছেন। শেষ ১০ বলে ৩ উইকেট পড়লে উইন্ডিজ অলআউট হয় ১০৯ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন শেফার্ড। বল হাতেও ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি।

বোলিংয়ে চোখ ধাঁধিয়েছেন বাংলাদেশের প্রায় সবাই। নিজের ঝোলায় ৩ উইকেট পোরেন রিশাদ হোসেন। ১৩ রানে ২ উইকেট শেখ মেহেদীর এবং ৩০ রানে ২ উইকেট তাসকিন আহমেদের। তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদ পান ১ উইকেট।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাইয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট। আর ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতিপক্ষকে তাদের মাঠে ধবলধোলাইয়ের স্বাদ পেলো লিটন-ইমনরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৮৯/৭ (জাকের ৭২*, পারভেজ ৩৯, মিরাজ ২৯, তানজিম ১৭, লিটন ১৪; শেফার্ড ২/৩০, চেজ ১/১৫, মোতি ১/৩০)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬.৪ ওভারে ১০৯ (শেফার্ড ৩৩, চার্লস ২৩, পুরান ১৫, মোতি ১২; রিশাদ ৩/২১, মেহেদী ২/১৩, তাসকিন ২/৩০, তানজিম ১/৩১, হাসান ১/৯)

সর্বশেষ
সম্পর্কিত