জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মামলায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে চার্জশুনানির আজ।
গত ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে মামলার চার্জশুনানির দিন ধার্য ছিল। ওই দিন তার আইনজীবীরা শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জশুনানির পরবর্তী এ তারিখ পিছিয়ে দেন বলে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি রাসেল সরদার।
২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা।
গত বছর ১৯ জুলাই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন সাবরিনা।
এরপর তিনি কারাবন্দী জীবনের ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে লিখতে শুরু করেন। সেই লেখা গুলোর সমন্বয়ে অমর একুশে বই মেলায় ‘বন্দিনী‘ নামে একটি বই বের করেন তিনি। এই বই বের করার পর থেকেই নতুন করে আলোচনায় এসেছেন করোনাকালীন খলনায়িকা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ডা. সাবরিনা। প্রায় তিনি বই মেলায় যান। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় তাকে দেখে অনেকেই ভূয়া ভূয়া বলে আওয়াজ দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এখন ভাইরাল ডা. সাবরিনা। এই আলোচনার মধ্যেই আজ তার জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি মামলার চার্জশুনানি।