লা লিগার গেল মৌসুমের শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদ। নতুন মৌসুমেও মাঠ কাঁপানোর সকল প্রস্তুতি নিয়েই নেমেছিল মাদ্রিদের দলটি। তবে মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেলো কার্লো আনচেলত্তির দল। পয়েন্ট খুইয়ে শুরু হলো শিরোপা ধরে রাখার মিশন। তাদেরকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে মায়োর্কা।
রোববার (১৮ আগস্ট) প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধের শুরুতেই রদ্রিগোর চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় আনচেলত্তির দল। এরপরই খেই হারিয়ে ফেলে মাদ্রিদের রাজারা। চেনা আঙিনায় উজ্জীবিত ফুটবল খেললো মায়োর্কা। তারই জেরে দ্বিতীয়ার্ধে সমতা টেনে ম্যাচ বাঁচান ভেদাত মুরিচি।
ঘরের মাঠে পরিকল্পনা করেই খেলতে নেমেছিল মায়োর্কা। ম্যাচের শুরুতে আক্রমণও করে তারা। পঞ্চম মিনিটে গোলের জন্য প্রথম শটটি নেয় মায়োর্কা। বক্সের ভেতর থেকে দানি রদ্রিগেজের প্রচেষ্টা লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে সামু কস্তার দারুণ শট লাফিয়ে এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান থিবো কোর্তোয়া।
ম্যাচে নিজেদের রক্ষণ জমাট করে খেলে মায়োর্কা। তাতে কিলিয়ান এমবাপ্পে খুব একটা সুযোগ পাননি। বাক্সবন্দি হয়ে ছিলেন জুড বেলিংহ্যাম। তাও সুযোগ বুঝে একবার মায়োর্কার বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। তবে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান তিনি। আবেদন করলেও মেলেনি পেনাল্টি।
অবশেষে ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। বক্সে ভিনিসিউস জুনিয়রের ব্যাকহিল ফ্লিকে বল পেয়ে যান পেছনে থাকা রদ্রিগো। একটু জায়গা বানিয়ে প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে ডান পায়ে শট নেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায় বল।
এরপর আরও কয়েকটি আক্রমণ করে রিয়াল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে রিয়ালের ওপর চাপ বাড়ায় মায়োর্কা। বেশ কয়েকটি সুযোগও পায় তারা, তবে কাজে লাগাতে পারেনি। তাকুমা আসানো ও মুরিচির প্রচেষ্টা রুখে দেন কোর্তোয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে সমতায় ফেরে মায়োর্কা। রদ্রিগেজের কর্নারে জোরাল হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন কসোভোর ফরোয়ার্ড মুরিচি। এরপর টানা আক্রমণ করে যান ভিনিসিউস-এমবাপে। মাঝ দিয়ে দুটি ভালো সুযোগ পান মায়োর্কার আন্তোনিও সানচেজও।
বাকি সময়ে রিয়াল তো সুযোগ পেলোই না, উল্টো বাড়লো দলের বিপদ। যোগ করা সময়ে মুরিচিকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন ফেরল্যান্ড মেন্ডি। এরপরই বাজে শেষ বাঁশি। এক পয়েন্ট খোয়ানোর দুঃখ নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।