*** পরীক্ষামূলক পরিচালন ***

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

উপদেষ্টা হাসান আরিফের দাফন আজ, পালিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় শোক

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন...

গাজীপুরে কারখানায় আগুন, নিহত বেড়ে ৩

গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানার আগুনের ঘটনায়...

দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী...

অক্টোবরে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে হামলার হুমকি

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। সারাবিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশে ক্ষমতার বাঁকবদল। আন্দোলন শেষ হবার পর সারা দেশে কিছু সহিংসতার ঘটনাও ঘটে এই পালাবদলকে কেন্দ্র করে।

তবে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে এই সহিংসতাকে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হিসেবে প্রচার করে আসছে। সরকার পতনের রাত থেকে পরবর্তী দুই-তিনদিন চলতে থাকে এই অভিযোগ। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সার্বিক সহিংসতা কমে এলেও ভারতে থেমে নেই এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া। ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার খবর এখনও চলমান।

এবার এই সুরে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের জেরে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচে হামলার হুমকিও দেয়া হয়েছে।

আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট আর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি নিয়ে শঙ্কার খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল। সংবাদ মাধ্যমের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এই সম্পর্কিত ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।

গোয়ালিয়রে অনুষ্ঠিতব্য এই ম্যাচ বাতিলের দাবি জানিয়েছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। দলটির সহ-সভাপতি ডা. জয়বীর ভরদ্বাজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই ম্যাচ বাতিলের সব রকমের চেষ্টা করবে তারা।

তবুও এই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত যদি মাঠে গড়ায় তাহলে হামলারও হুমকি দেয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। জয়বীর ভরদ্বাজ বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের গণহত্যা করা হচ্ছে, মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে। এরপরেও প্রধানমন্ত্রী মোদি এখানে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই, হিন্দু মহাসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচের বিরোধিতা করা হবে। শান্তি বজায় রাখার জন্য ম্যাচটি বাতিল করা উচিত কারণ অন্যথায় দেশে অশান্তি হবে।

উল্লেখ্য, দুই টেস্ট শেষ হবার পর ভারত-বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবার কথা রয়েছে ৬ অক্টোবর থেকে। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিওরে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

সর্বশেষ
সম্পর্কিত