বাংলাদেশে বিক্ষোভের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অবস্থায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা আগেই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন প্রক্রিয়াকে গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ভারতে তিনি স্থায়ীভাবে থাকবেন না বলে বেশ জোরেশোড়ে শোনা যাচ্ছে। এর আগে ব্রিটেনে আশ্রয় প্রার্থনা করলেও তা প্রত্যাখ্যান করে দেয় দেশটি। এবার যুক্তরাষ্ট্রও শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করে দিয়েছে।
ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে করা এক পোস্টে জানান, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে ব্যাপক দমন-পীড়নের অভিযোগ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকেই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন প্রক্রিয়াকে গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি।
হাসিনা ভারতে বসেই তার পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় থাকেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হাসিনার ভ্রমণের কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। বার্গম্যান সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, হাসিনা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাওয়ার কথা বিবেচনা করছেন, সেখানে তার বোন শেখ রেহানা এবং ভাগ্নি এমপি টিউলিপ সিদ্দিক থাকেন। হাসিনা যে পদ্ধতিতে ব্রিটেনের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন, অভিবাসন আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়।