গাজীপুরের শ্রীপুরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে জাকির হোসেন (৪৩) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনায় মারা যান তিনি। আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে ব্যবসায়ীকে।
তবে পুলিশ বলছে, তিনি গুলিতে মারা যাননি। আন্দোলন চলাকালে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে জাকিরের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত জাকির হোসেন সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া বেপারী বাড়ি এলাকায় তার লেপ-তোশকের দোকান রয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, পুলিশের গুলিতে জাকিরের মৃত্যু হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ছোটাছুটি করার সময় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আলহেরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একজন লোককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
মাওনা আলহেরা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুপুরের পর থেকে আলহেরা হাসপাতালে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী অর্ধশতাধিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে আসেন। তাদের অনেককেই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একজন মধ্যবয়সী পুরুষকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথা আঘাতের চিহ্ন ছিল।
স্থানীয়রা জানান, আজ সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনরত ছাত্ররা মাওনা চৌরাস্তার পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে অবস্থান নেয়। আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা মাওনা চৌরাস্তার ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর ছাত্ররা লাঠিসোঠা হাতে মিছিল নিয়ে মাওনা ফ্লাইওভার এলাকায় যান। এ সময় ছাত্ররা ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকে। সে সময় তারা মাওনা ফ্লাইওভারের নিচে থাকা তিনটি পুলিশ বক্সে আগুন দেন। এরপর তারা পুলিশের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলো পুলিশ।আন্দোলনকারীরা এসে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তিনটি পুলিশ বক্স ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ছাড়া পুলিশের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন তারা।’