*** পরীক্ষামূলক পরিচালন ***

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বিমান ও পর্যটন...

মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনায় তীব্র নিন্দা, দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে মানহানির ঘটনায়...

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার...

‘রাজাকার’ স্লোগান দেয়ায় ২ শিক্ষার্থীকে হলে আটক, মধ্যরাতে উত্তপ্ত জাবি

‘তুমি কে, আমি কে?, রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগান দেওয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২ জন শিক্ষার্থীকে হলে আটকে রাখার প্রতিবাদে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। কয়াম্পাসের পরিবেশ হয়ে উঠেছে উত্তপ্ত।

রবিবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান নিয়ে ‘তুমি কে, আমি কে?, রাজাকর, রাজাকার’ স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘তুমি কে, আমি কে? রাজাকার রাজাকার’, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র কারো বাপের না’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না’, ‘আমার ভাই আটক কেন?, জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

হল সুত্রে জানা যায়, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ‘তুমি কে আমি কে?, রাজাকার, রাজাকার’ স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের হলে এমন স্লোগান দেয়ার পরিকল্পনা করেন ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা৷ তার প্রেক্ষিতে ৪৯তম ব্যাচের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের মো. সাঈফ খান ম্যাসেজ দেন। পরে হলের ১২৪ নম্বর কক্ষ থেকে স্লোগান পুরো হলে ছড়িয়ে পড়ে৷ এ সময় শিক্ষার্থীরা সমস্বরে স্লোগান দিতে শুরু করলে পলিটিকাল ব্লক থেকে ৪৮তম ব্যাচের সিনিয়ররা এসে তাদের সবাইকে ডেকে হলের ডাইনিংয়ে নিয়ে যান।

এরপর শিক্ষার্থীদের কাছে ‘রাজাকার’ স্লোগান দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। এ সময় ‘শিবির সন্দেহে’ শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন তল্লাশি করা হয়৷ এরই মধ্যে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদারকে ডেকে নিয়ে আসেন ছাত্রলীগ নেতারা৷ পরে হল প্রাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্ষমা চাইতে বলা হয়। ক্ষমা চাইলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আমরা ভীত। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সবাইকে রাজাকার বলা হয়েছে। তারই প্রতিক্রিয়ায় আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আহ্বান করি। তার মধ্যেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী স্লোগান দেওয়ায় তাদের আটকে রেখে মোবাইল তল্লাশি করা হয়েছে- এমন খবর পেয়ে আমরা হলের সামনে এসেছি। এ সময় শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে যারা হেনস্তা করেছে তাদের বহিষ্কারের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

এর আগে, চলমান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যর প্রতিক্রিয়ায় রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, ‘হলের সামনে শিক্ষার্থীদের মিছিলের কথা শুনে হলে এসেছি৷ তবে ঘটনার বিস্তারিত বুঝতে পারিনি। সম্ভবত কোনো স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে৷ আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি।’

সর্বশেষ
সম্পর্কিত